শেরপুর ডেস্কঃ বগুড়ায় শ্যামলী পরিবহন নামে একটি নৈশকোচে ডাকাতি স্টাইলে যাত্রীদের অজ্ঞান করে টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে ১১ হাজার ১শ’ টাকা, ৫টি মোবাইল ফোন, ২টি মানিব্যাগ ও একটি পার্স, অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধ, স্প্রে,পান, সুপারি ও জদ্দা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১ এপ্রিল) ভোরে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা এলাকায় ওই বাস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সেইসাথে অচেতন অবস্থায় আসিফ, আবু জাহিদ,হাফেজ আইনুল ইসলাম ও তানিয়া বেগম নামে চার যাত্রীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ( শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলো- বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার শারুলিয়া এলাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে শেখ শহিদুল ইসলাম (৪৪) ও একই উপজেলার চরকান্দি এলাকার মৃত রোস্তম শেখের ছেলে বোরহান শেখ (৫২)।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন,ঢাকা হতে ঠাকুরগাঁও এর রাণীশৈংকলগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৯৮৬১) নৈশকোচে থাকা অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা যাত্রীদের চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা ও অন্যান্য মালামাল হাতিয়ে নিচ্ছে,এমন খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে।
পরে কোচটি বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় পৌঁছুলে এতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় পুলিশ দেখে অজ্ঞানপার্টির ওই দুই সদস্য কোচ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চেতনানাশক ওষুধ, স্প্রে,উল্লেখিত টাকাসহ অন্যান্য মালামাল। সেইসাথে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া নারীসজ ওই চারজনকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার করা দুজন অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দুজনের নামে আরেকটি মামলা করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।