শেরপুর নিউজ ডেস্ক: দেশের ছয় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছ এবং তা অব্যাহত থাকবে। জেলাগুলো হলো- কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। তবে দিনে রোদ থাকতে পারে। এরফলে, তখন শীত কিছুটা কমে আসবে। এছাড়া দেশের চার বিভাগে হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে, তবে সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের দতাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহী, ঈশ্বরদী ও বদলগাছীতে রবিবার দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল পারদ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, “কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দিন ও রাতে সমান শীতের অনুভূতি ছিল। এটা কিছুটা অস্বাভাবিক। শীতকালে দিনে রোদ থাকে, রাতে শীত নামে। এটাই স্বাভাবিক। আগামী কয়েক দিন এ ধরনের শীত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে অনেক জায়গায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বাড়তে পারে।